চাকরির বাজারে নিজেকে প্রমাণ করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ইন্টারভিউ বা সাক্ষাৎকার। একটি সফল ইন্টারভিউ শুধুমাত্র আপনার যোগ্যতাই প্রমাণ করে না, বরং আপনার ব্যক্তিত্ব, যোগাযোগ দক্ষতা এবং চাপের মুখে নিজেকে সামলানোর ক্ষমতাও তুলে ধরে। এই বিস্তারিত গাইডে আমরা আলোচনা করবো সফল ইন্টারভিউয়ের বিভিন্ন কৌশল নিয়ে, যা আপনাকে আত্মবিশ্বাসের সাথে যেকোনো ইন্টারভিউ বোর্ডের সম্মুখীন হতে সাহায্য করবে।
কেন ইন্টারভিউ এত গুরুত্বপূর্ণ?
ইন্টারভিউ হলো একটি দ্বিমুখী প্রক্রিয়া। একদিকে যেমন নিয়োগকর্তা আপনার যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং কোম্পানির সংস্কৃতির সাথে আপনি মানানসই কিনা তা যাচাই করেন, অন্যদিকে আপনিও কোম্পানি, কাজের পরিবেশ এবং আপনার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা পান। তাই, ইন্টারভিউতে ভালো করা আপনার স্বপ্নের চাকরি পাওয়ার পথে একটি বড় পদক্ষেপ।
ইন্টারভিউয়ের প্রস্তুতি: সাফল্যের মূল চাবিকাঠি
প্রবাদ আছে, "সঠিক প্রস্তুতি অর্ধেক জয় এনে দেয়।" ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রেও এই কথাটি শতভাগ প্রযোজ্য। আসুন জেনে নিই ইন্টারভিউয়ের আগে কী কী প্রস্তুতি নেওয়া আবশ্যক:
১. কোম্পানি সম্পর্কে গবেষণা
(Company Research):
আপনি যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন, তাদের সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
* ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া: কোম্পানির ওয়েবসাইট, লিংকডইন প্রোফাইল, ফেসবুক পেজ, টুইটার হ্যান্ডেল ইত্যাদি ভিজিট করুন। তাদের মিশন, ভিশন, সাম্প্রতিক কার্যক্রম, পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানুন।
* খবর ও আর্টিকেল: কোম্পানি সম্পর্কিত সাম্প্রতিক খবর বা আর্টিকেল পড়ুন। এটি আপনাকে তাদের বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা দেবে।
* সংস্কৃতি: সম্ভব হলে কোম্পানির কাজের পরিবেশ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। গ্লাসডোর বা লিংকডইনের মতো প্ল্যাটফর্মে বর্তমান বা প্রাক্তন কর্মীদের রিভিউ দেখতে পারেন।
২. জব ডেসক্রিপশন বিশ্লেষণ
(Job Description Analysis):
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত জব ডেসক্রিপশনটি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
* প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও দক্ষতা: কোন কোন দক্ষতা ও যোগ্যতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তা নোট করুন।
* দায়িত্ব ও কর্তব্য: আপনার সম্ভাব্য ভূমিকা ও দায়িত্বগুলো কী কী হবে, তা বোঝার চেষ্টা করুন।
* নিজের সাথে মেলানো: আপনার নিজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার সাথে জব ডেসক্রিপশনের চাহিদাগুলো মিলিয়ে দেখুন। কোথায় কোথায় আপনার শক্তিশালী দিক রয়েছে এবং কোথায় আরও উন্নতির সুযোগ আছে, তা চিহ্নিত করুন।
৩. সম্ভাব্য প্রশ্ন ও উত্তর তৈরি (Preparing for Common Questions):
কিছু সাধারণ প্রশ্ন প্রায় সব ইন্টারভিউতেই করা হয়। সেগুলোর জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।
* "আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন"
(Tell me about yourself): এটি শুধু আপনার ব্যক্তিগত তথ্য নয়, বরং আপনার পেশাগত জীবনের সংক্ষিপ্ত সার, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং কেন আপনি এই পদের জন্য যোগ্য, তার একটি মিশ্রণ।
* "আপনার শক্তি কী?" (What are your strengths?): জব ডেসক্রিপশনের সাথে প্রাসঙ্গিক তিন-চারটি শক্তির কথা বলুন এবং উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিন।
* "আপনার দুর্বলতা কী?" (What are your weaknesses?): এমন দুর্বলতার কথা বলুন যা খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না এবং আপনি সেটি কাটিয়ে ওঠার জন্য কী করছেন, তাও উল্লেখ করুন। যেমন: "আমি মাঝে মাঝে অতিরিক্ত পারফেকশনিস্ট হয়ে যাই, তবে এখন সময়ের প্রতি আরও সচেতন থাকার চেষ্টা করছি।"
* "আপনি এই কোম্পানিতে কেন কাজ করতে চান?" (Why do you
want to work for this company?): কোম্পানির গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্যের সমন্বয় করে উত্তর দিন।
* "পাঁচ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান?" (Where do you see yourself in five
years?): আপনার ক্যারিয়ারের লক্ষ্য এবং এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে কীভাবে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে চান, তা বলুন।
* STAR পদ্ধতি ব্যবহার করুন: আপনার উত্তরগুলিকে আরও কাঠামোবদ্ধ এবং প্রভাবশালী করতে STAR (Situation, Task, Action, Result) পদ্ধতি ব্যবহার করুন। অর্থাৎ, পরিস্থিতি, আপনার কাজ, আপনি কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন এবং তার ফলাফল কী হয়েছিল – তা বিস্তারিত বলুন।
৪. নিজের প্রশ্ন তৈরি করুন (Prepare Your Questions):
ইন্টারভিউয়ের শেষে আপনাকে প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। এটি আপনার আগ্রহ এবং পূর্বপ্রস্তুতি প্রমাণ করে। কয়েকটি ভালো প্রশ্ন হতে পারে:
* "এই পদে সফল হতে হলে প্রথম তিন মাসে আমার প্রধান কাজ কী কী হবে?"
* "দলের কাজের পরিবেশ কেমন?"
* "এই পদের জন্য পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করা হয়?"
* "কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন।"
(বেতন বা ছুটির বিষয়ে প্রথম ইন্টারভিউতে প্রশ্ন না করাই ভালো, যদি না নিয়োগকর্তা নিজে বিষয়টি তোলেন।)
৫. পোশাক ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (Dress Code and Documents):
* পোশাক: ফরমাল বা সেমি-ফরমাল পোশাক পরিধান করুন। পোশাক যেন পরিষ্কার ও পরিপাটি হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
* কাগজপত্র: আপনার সিভি বা রিজিউমে, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, অভিজ্ঞতার সনদ (যদি থাকে), জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি একটি ফাইলে গুছিয়ে নিন। একটি নোটপ্যাড ও কলম সাথে রাখুন।
৬. সময়ানুবর্তিতা ও মানসিক প্রস্তুতি (Punctuality and Mental Preparation):
* ইন্টারভিউয়ের স্থানে নির্ধারিত সময়ের অন্তত ১৫-২০ মিনিট আগে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। এতে আপনি পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে এবং শেষ মুহূর্তের তাড়াহুড়ো এড়াতে পারবেন।
* ইতিবাচক মনোভাব রাখুন এবং আত্মবিশ্বাসী থাকুন।
ইন্টারভিউয়ের দিনের করণীয়
(During the Interview):
১. প্রথম ইম্প্রেশন (First Impression):
* হাসিমুখ ও উষ্ণ অভ্যর্থনা: প্রবেশ করার সময় মুখে হালকা হাসি রাখুন এবং দৃঢ়ভাবে (তবে অতিরিক্ত জোরে নয়) হ্যান্ডশেক করুন (যদি পরিস্থিতি ও সংস্কৃতি সমর্থন করে)।
* আই কন্টাক্ট: কথা বলার সময় ইন্টারভিউয়ারদের সাথে স্বাভাবিক আই কন্টাক্ট বজায় রাখুন। এটি আপনার আত্মবিশ্বাস প্রমাণ করে।
২. উত্তর দেওয়ার কৌশল
(Answering Techniques):
* মনোযোগ দিয়ে শুনুন: প্রশ্নকর্তার প্রশ্ন সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে শুনুন। প্রয়োজনে প্রশ্নটি পুনরাবৃত্তি করতে বা ব্যাখ্যা করতে অনুরোধ করতে পারেন।
* চিন্তা করে উত্তর দিন: উত্তর দেওয়ার আগে কয়েক সেকেন্ড চিন্তা করুন। গুছিয়ে, স্পষ্টভাবে এবং সংক্ষিপ্তভাবে উত্তর দিন।
* ইতিবাচক থাকুন: আপনার উত্তরে ইতিবাচক মনোভাব ফুটিয়ে তুলুন। পূর্বের কোনো চাকরি বা সহকর্মী সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।
* সততা: কোনো প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলে বিনয়ের সাথে তা স্বীকার করুন। ভুল তথ্য দেওয়ার চেয়ে সততা শ্রেয়।
* উদাহরণ ব্যবহার করুন: আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার প্রমাণ দিতে বাস্তব উদাহরণ ব্যবহার করুন (STAR পদ্ধতি)।
৩. শারীরিক ভাষা (Body Language):
* সোজা হয়ে বসুন, তবে আড়ষ্টভাবে নয়।
* হাত-পা বেশি নাড়াচাড়া করা বা অপ্রয়োজনীয় অঙ্গভঙ্গি করা থেকে বিরত থাকুন।
* কথা বলার সময় আত্মবিশ্বাসের সাথে আপনার হাত ব্যবহার করতে পারেন (যেমন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বোঝাতে)।
* মাঝে মাঝে সম্মতিসূচক মাথা নাড়ুন।
৪. কঠিন প্রশ্নের মোকাবিলা
(Handling Difficult Questions):
* চাপের মুখে প্রশ্ন: "আপনি চাপের মধ্যে কীভাবে কাজ করেন?" – এমন প্রশ্নের উত্তরে একটি উদাহরণ দিন যেখানে আপনি সফলভাবে চাপ সামলেছেন।
* ব্যর্থতার প্রশ্ন: "আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা কী?" – এমন প্রশ্নের উত্তরে সততার সাথে একটি ছোট ব্যর্থতার কথা বলুন এবং সেখান থেকে কী শিখেছেন তা উল্লেখ করুন।
৫. আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা
(Asking Your Questions):
* যখন আপনাকে প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হবে, তখন আপনার তৈরি করা প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করুন। এটি আপনার আগ্রহ ও গবেষণা প্রমাণ করবে।
৬. বেতন নিয়ে আলোচনা
(Salary Discussion - If it Arises):
* সাধারণত প্রথম ইন্টারভিউতে বেতন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় না। যদি নিয়োগকর্তা প্রশ্ন করেন, তবে আপনি আপনার প্রত্যাশিত বেতনের একটি পরিসীমা (range) বলতে পারেন অথবা বলতে পারেন যে আপনি কোম্পানির প্রচলিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী পেতে আগ্রহী। আগে থেকে ওই পদের জন্য গড় বেতন কেমন তা জেনে নেওয়া ভালো।
৭. শেষ মুহূর্ত (Concluding the Interview):
* ইন্টারভিউ শেষ হওয়ার আগে আপনাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।
* এই পদের প্রতি আপনার আগ্রহ পুনরায় ব্যক্ত করতে পারেন।
* পরবর্তী ধাপগুলো সম্পর্কে বিনয়ের সাথে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
ইন্টারভিউয়ের পর করণীয়
(Post-Interview Steps):
১. ধন্যবাদ জ্ঞাপন পত্র
(Thank You Note):
* ইন্টারভিউয়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি ধন্যবাদ জ্ঞাপন ইমেইল পাঠান। এতে আপনি ইন্টারভিউয়ারকে তার সময়ের জন্য ধন্যবাদ জানাতে পারেন, পদের প্রতি আপনার আগ্রহ পুনরায় ব্যক্ত করতে পারেন এবং ইন্টারভিউতে আলোচিত কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংক্ষেপে উল্লেখ করতে পারেন।
২. ফলো-আপ (Follow-up):
* যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো সাড়া না পান (সাধারণত ১-২ সপ্তাহ), তবে বিনয়ের সাথে একটি ফলো-আপ ইমেইল করতে পারেন বা ফোন করতে পারেন।
৩. আত্ম-মূল্যায়ন (Self-Reflection):
* ইন্টারভিউটি কেমন হলো তা নিজে নিজে মূল্যায়ন করুন। কোন প্রশ্নের উত্তর ভালো দিয়েছেন, কোথায় আরও ভালো করা যেত – তা নোট করুন। এটি পরবর্তী ইন্টারভিউয়ের জন্য আপনাকে প্রস্তুত করবে।
কিছু সাধারণ ভুল যা এড়িয়ে চলবেন:
- দেরিতে পৌঁছানো।
- অপ্রস্তুত
থাকা বা কোম্পানি সম্পর্কে না জানা।
- অতিরিক্ত
কথা বলা বা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলা।
- প্রশ্ন মনোযোগ দিয়ে না শোনা।
- নেতিবাচক
মনোভাব পোষণ করা বা পূর্বের работодаকের সমালোচনা করা।
- বেতন নিয়ে আগেভাগেই
বাড়াবাড়ি করা।
- শারীরিক ভাষায় অসংলগ্নতা
(যেমন: চোখে চোখ না রাখা, বেশি নড়াচড়া করা)।
- অতিরিক্ত
আত্মবিশ্বাস বা ঔদ্ধত্য দেখানো।
শেষ কথা:
সফল ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রয়োজন সঠিক প্রস্তুতি, আত্মবিশ্বাস এবং ইতিবাচক মনোভাব। প্রতিটি ইন্টারভিউ একটি নতুন অভিজ্ঞতা এবং শেখার সুযোগ। তাই, প্রতিটি ইন্টারভিউকে গুরুত্ব দিন এবং নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপনার চাকরির অনুসন্ধানের জন্য শুভকামনা!
জ্ঞান যাচাই (Knowledge Check MCQs):
নিচের প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর নির্বাচন করুন:
১. ইন্টারভিউয়ের প্রস্তুতির প্রথম ধাপ কোনটি?
(ক) পোশাক নির্বাচন করা
(খ) কোম্পানি সম্পর্কে গবেষণা করা
(গ) বন্ধুদের সাথে আলোচনা করা
(ঘ) বেতন নিয়ে চিন্তা করা
২. STAR পদ্ধতির 'A' দ্বারা কী বোঝানো হয়?
(ক) Attitude (মনোভাব)
(খ) Action (পদক্ষেপ)
(গ) Ability (ক্ষমতা)
(ঘ) Answer (উত্তর)
৩. ইন্টারভিউয়ের সময় নিজের দুর্বলতা সম্পর্কে বলার সঠিক উপায় কোনটি?
(ক) কোনো দুর্বলতা নেই বলা
(খ) একটি ছোট দুর্বলতা উল্লেখ করে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টার কথা বলা
(গ) অন্যের উপর দোষ চাপানো
(ঘ) দুর্বলতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা
৪. ইন্টারভিউতে প্রশ্নকর্তাকে প্রশ্ন করা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
(ক) সময় নষ্ট করার জন্য
(খ) নিজের পাণ্ডিত্য দেখানোর জন্য
(গ) পদের প্রতি ও কোম্পানির প্রতি আপনার আগ্রহ দেখানোর জন্য
(ঘ) প্রশ্নকর্তাকে বিব্রত করার জন্য
৫. ইন্টারভিউয়ের জন্য কেমন পোশাক পরা উচিত?
(ক) খুব জমকালো ও আধুনিক
(খ) ক্যাজুয়াল বা সাধারণ টি-শার্ট
(গ) পরিষ্কার, পরিপাটি এবং ফরমাল বা সেমি-ফরমাল
(ঘ) যা খুশি তাই
৬. "আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন" – এই প্রশ্নের উত্তরে কী বলা উচিত নয়?
(ক) আপনার পেশাগত জীবনের সংক্ষিপ্ত সার
(খ) আপনার পারিবারিক বিস্তারিত ইতিহাস
(গ) আপনার প্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা
(ঘ) কেন আপনি এই পদের জন্য যোগ্য
৭. ইন্টারভিউতে আই কন্টাক্ট (চোখে চোখ রাখা) কেন জরুরি?
(ক) প্রশ্নকর্তাকে ভয় দেখানোর জন্য
(খ) নিজের আত্মবিশ্বাস ও মনোযোগ প্রমাণ করার জন্য
(গ) অন্যমনস্কতা ঢাকার জন্য
(ঘ) এটি জরুরি নয়
৮. ইন্টারভিউয়ের পর ধন্যবাদ জ্ঞাপন পত্র কখন পাঠানো উচিত?
(ক) ৭ দিন পর
(খ) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে
(গ) ১ মাস পর
(ঘ) পাঠানোর প্রয়োজন নেই
৯. কঠিন বা অপ্রত্যাশিত প্রশ্নের সম্মুখীন হলে কী করা উচিত?
(ক) রেগে যাওয়া
(খ) উত্তর না দিয়ে চুপ থাকা
(গ) শান্ত থেকে, চিন্তা করে উত্তর দেওয়া বা প্রয়োজনে প্রশ্নটি বুঝতে সময় নেওয়া
(ঘ) অন্য প্রসঙ্গে চলে যাওয়া
১০. বেতন নিয়ে আলোচনা কখন করা সবচেয়ে مناسب?
(ক) ইন্টারভিউয়ের শুরুতেই
(খ) যখন নিয়োগকর্তা নিজে বিষয়টি তোলেন বা পরবর্তী ধাপে
(গ) বন্ধুদের সাথে আলোচনার পর
(ঘ) ইন্টারভিউয়ের মাঝে যেকোনো সময়
১১. ইন্টারভিউয়ের স্থানে কখন পৌঁছানো আদর্শ?
(ক) ঠিক সময়ে
(খ) ৩০ মিনিট দেরিতে
(গ) ১৫-২০ মিনিট আগে
(ঘ) ১ ঘণ্টা আগে
১২. জব ডেসক্রিপশন মনোযোগ দিয়ে পড়ার প্রধান উদ্দেশ্য কী?
(ক) কোম্পানির ঠিকানা জানা
(খ) পদের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত হওয়া
(গ) ইন্টারভিউয়ারের নাম জানা
(ঘ) শুধুমাত্র বেতন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া
১৩. ইন্টারভিউতে শারীরিক ভাষার (Body Language) গুরুত্ব কী?
(ক) এর কোনো গুরুত্ব নেই
(খ) এটি আপনার আত্মবিশ্বাস, মনোযোগ ও পেশাদারিত্ব প্রকাশ করে
(গ) এটি শুধু পোশাকের অংশ
(ঘ) এটি প্রশ্নকর্তাকে বিভ্রান্ত করতে সাহায্য করে
১৪. পূর্বের চাকরি বা সহকর্মী সম্পর্কে কেমন মন্তব্য করা উচিত?
(ক) বিস্তারিত সমালোচনা করা
(খ) কিছু গোপন তথ্য ফাঁস করা
(গ) কোনো নেতিবাচক মন্তব্য না করাই শ্রেয়, ইতিবাচক দিক তুলে ধরা
(ঘ) সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়া
১৫. ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে কোনটি অপরিহার্য নয় (সাধারণত)?
(ক) সিভি বা রিজিউমে
(খ) শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
(গ) জন্ম নিবন্ধন সনদ
(ঘ) জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
উত্তরমালা
(Answer Key for MCQs):
১. (খ) কোম্পানি সম্পর্কে গবেষণা করা
২. (খ) Action (পদক্ষেপ)
৩. (খ) একটি ছোট দুর্বলতা উল্লেখ করে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টার কথা বলা
৪. (গ) পদের প্রতি ও কোম্পানির প্রতি আপনার আগ্রহ দেখানোর জন্য
৫. (গ) পরিষ্কার, পরিপাটি এবং ফরমাল বা সেমি-ফরমাল
৬. (খ) আপনার পারিবারিক বিস্তারিত ইতিহাস
৭. (খ) নিজের আত্মবিশ্বাস ও মনোযোগ প্রমাণ করার জন্য
৮. (খ) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে
৯. (গ) শান্ত থেকে, চিন্তা করে উত্তর দেওয়া বা প্রয়োজনে প্রশ্নটি বুঝতে সময় নেওয়া
১০. (খ) যখন নিয়োগকর্তা নিজে বিষয়টি তোলেন বা পরবর্তী ধাপে
১১. (গ) ১৫-২০ মিনিট আগে
১২. (খ) পদের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত হওয়া
১৩. (খ) এটি আপনার আত্মবিশ্বাস, মনোযোগ ও পেশাদারিত্ব প্রকাশ করে
১৪. (গ) কোনো নেতিবাচক মন্তব্য না করাই শ্রেয়, ইতিবাচক দিক তুলে ধরা
১৫. (গ) জন্ম নিবন্ধন সনদ (সাধারণত জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট বেশি গ্রহণযোগ্য)